Mukti Juddho Wiki
Register
Advertisement

right|thumb|বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের (তত্‍কালীন পূর্ব পাকিস্তান) জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শোষন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে এবং শেষে এই প্রতিবাদ যুদ্ধে রূপ নেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে।


বাল্য ও স্কুল জীবন

পারিবারিক পরিচিতি

শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুত্‍ফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। তার দুই ভাই ও চার বোন সহ মোট ছয় ভাই-বোন ছিল; এদের মধ্যে মুজিব ছিলেন তৃতীয়। তার বড় বোন ফাতেমা বেগম, মেজ বোন আছিয়া বেগম, সেজ বোন হেলেন ও ছোট বোন লাইলী; তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ আবু নাসের। মাত্র নয়/দশ বছরে যশোহরের কো-অপারেটিভ ডিপার্টমেন্টের অডিটর জহুরুল হকের মৃত্যুর পর তার কন্যা ফজিলাতুন্নেসার সাথে শেখ মুজিবের বিয়ে হয়। তখন ফজিলাতুন্নেসার বয়স ছিল মাত্র এক বছর(সূত্র: বঙ্গবন্ধুর বাল্য-কৈশোর ও অন্যান্য প্রসঙ্গ-মোহাম্মদ সাইদুর রহমান)।

জন্ম

১৭ মার্চ, ১৯২০ (বঙ্গাব্দ ১৩২৬) সালে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন।

শৈশব

শিক্ষা

১৯৩৪ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা এম. ই স্কুলে ৪র্থ শ্রেনীতে ভর্তি হন। ১৯৩৭ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনিস্টিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

রাজনীতিতে প্রবেশ

স্টুডেন্ট মুসলিম লীগ গঠন

প্রথম কারাবাস

গোপালগঞ্জের এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একরকম মারমুখো পরিস্থিতির মধ্যে শেখ মুজিব নিজে দায়িত্ব নিয়ে এক মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেন। ফলে বিরুদ্ধবাদীদের চক্রে পড়ে আঠারো বছর বয়সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শেখ মুজিবকে রাজনৈতিক অপরাধের জন্য প্রথম পুলিশের হাতে ধৃত হয়ে কারাগারে যেতে হয়। তিনি সাতদিন কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীকালে শৈশবের প্রথম কারাবাস সম্পর্কে শেখ মুজিব বলতেন, "মনে হয় যেদিন আমি প্রথম জেলে গেলাম, সেদিন থেকেই আমার বালকত্বের অবসান ঘটলো।

কলকাতায় শেখ মুজিব

পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু

মুসলিম লীগ

আওয়ামী মুসলিম লীগ

১৯৪৯ সালের ১৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ জন্ম লাভ করে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এই দলের সভাপতি। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। সহ সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিব। পরবর্তীকালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে এর নাম রাখা হয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ

বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ

স্বাধীনতা আন্দোলন

ছয় দফা

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ছয় দফা

১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা প্রস্তাব করেন, যার মূল বক্তব্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন। এতে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শংকিত হয়ে উঠে। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৬ সালের মে মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

১৯৬৮ সালে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার একজন আসামী হিসেবে আবার গ্রেফতার করা হয়। জনগণের দাবীর মূখে ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

১৯৭০ এর নির্বাচন

১৯৭০ এর সাধারন নির্বাচনে জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবীকে সমর্থন জানালে তাঁর দল আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৪টি সীটের মধ্যে ১৬২টিতে জয়ী হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পরও ভুট্টো ও ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তা মুজিবকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল ঘোষনা করলে মুজিব সর্বাত্নক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।

৭ মার্চের ভাষণ

right|thumb|সাত মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু এই অবস্থায় ৭ মার্চ, ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় এক ঐতিহাসিক ভাষনে শেখ মুজিব সামরিক জান্তার সমালোচনা করেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যার্থতার জন্য। এই জনসভাতেই তিনি বলেন, "তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল।" তিনি আরও বলেন "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" সেইদিন উপস্থিত মানুষের স্বাধীনতা ঘোষণার আকাঙ্খা থাকলে ও সেদিন তিনি স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষণা দেননি কিন্তু প্রকারন্তরে স্বাধীনতার চুড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দেন যা পরবর্তিতে ৭ কোটি নিরস্ত্র মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে উঠে।

গোল-টেবিল বৈঠক

স্বাধীনতা যুদ্ধ

শেখ মজিব রহমান কি যোদ্দো করেছিল করলে জানাবেন বিষয়শ্রেণী:জাহির বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বিষয়শ্রেণী:মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র বিষয়শ্রেণী:রাজনৈতিক আন্দোলন বিষয়শ্রেণী:গণহত্যা বিষয়শ্রেণী:জীবনী

স্বাধীন বাংলাদেশ

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি তারিখে পাকিস্তান হতে লন্ডননয়া দিল্লী হয়ে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। ৩১ বার তোপধ্বনি করে এবং গার্ড অব অনার দিয়ে তাঁকে সম্বর্ধিত করা হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি

অর্থনীতি

পররাষ্ট্রনীতি

কৃষি

প্রশাসন

অন্যান্য

বাকশাল গঠন

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: বাকশাল

১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে শেখ মুজিব বাংলাদেশের সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে এক-দলীয় শাসন প্রবর্তন করেন, এবং বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামক দল বাদে অন্য সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এসময় সরকার-পরিচালিত ৪টি সংবাদপত্র বাদে অন্য সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশের সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতির শাসন চালু করা হয়।

মৃত্যু

right|thumb|১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল সামরিক কর্মকর্তার চক্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এমনকি ঘাতকরা তাঁর ৭ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেলকে রেহাই দেয়নি। তার পর তারই মন্ত্রীসভার সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ ক্ষমতা দখল করেন।

আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে শেখ মুজিব

[[চিত্র:Indira Mujib family.jpg|thumb|right|ইন্দিরা গান্ধির সাথে মুজিব সপরিবারে]]

বহিঃ সংযোগ

  1. সাতই মার্চের ভাষণ (বাংলা)
  2. জীবনী-আওয়ামী লীগের ওয়েব সাইট হতে
Advertisement