Mukti Juddho Wiki
Advertisement

আনিস মোল্লা (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১৯৯৩) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। [1]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আনিস মোল্লার জন্ম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের খায়েরঘাটচড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম তছিমউদ্দিন মোল্লা এবং মায়ের নাম মজিতন নেছা। তাঁর স্ত্রীর নাম আছিয়া বেগম।

কর্মজীবন

আনিস মোল্লা ১৯৭১ সালে চাকরি করতেন ইপিআরে (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পরে বিডিআর, এখন বিজিবি)। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। চাকরি থেকে অবসর নেন ১৯৭৮ সালে।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

আনিস মোল্লা ৬ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে তিনি রংপুরে কর্মরত ছিলেন। রংপুরে ছিল ইপিআরের ১০ নম্বর উইং হেডকোয়ার্টার। উইংয়ের অধীনে ছিল পাঁচটি কোম্পানি ও একটি সাপোর্ট প্লাটুন। পাঁচটি কোম্পানির একটি ছিল চিলমারী, একটি মোগলহাট, একটি পাটগ্রাম, একটি জয়পুরহাট এবং একটি হেডকোয়ার্টারে। রংপুর শহরে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৩ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার। ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইপিআরদের আক্রমণ করে। ইপিআর হেডকোয়ার্টারে তারা বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ করে। সেখানে অবস্থানরত বাঙালি ইপিআর সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন। কিছু ইপিআর সদস্য পালাতে সক্ষম হন। অন্যরা শহীদ হন। ইপিআরের সদস্য যাঁরা পালাতে পেরেছিলেন, তাঁরা সমবেত হন তিস্তা নদীর পাড়ে। সেখানে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় রংপুর ইপিআর উইংয়ের অন্য কোম্পানিগুলো। এরপর তাঁরা বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধযুদ্ধ করেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে ভারতে যান। পরে সেক্টর গঠিত হলে তাঁরা বিভক্ত হয়ে যুদ্ধ করেন ৬ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সাবসেক্টরে। এই সেক্টরের অধীনে ছিল পাঁচটি সাবসেক্টর। ভজনপুর, পাটগ্রাম, সাহেবগঞ্জ, মোগলহাট ও চিলাহাটি। অন্যান্য সেক্টরের চেয়ে এ সেক্টরের বৈশিষ্ট্য ছিল ভিন্ন। সেক্টরের নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধাদের বেশির ভাগ ছিলেন ইপিআরের সদস্য।

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়শ্রেণী:বীর বিক্রম

Advertisement